কলকাতা 

Abhishek Banerjee-CV Ananda Bose : রাজ্যপাল অভিষেক মুখোমুখি! পাঁচ দিন পর অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিল তৃণমূল, একশ দিনের বকেয়া টাকা আনতে দিল্লী গেলেন বোস, আন্দোলনে জিতল কে তৃণমূল না রাজ্যপাল? প্রশ্ন আমজনতার

শেয়ার করুন

বুলবুল চৌধুরী : শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ৩০ জনের প্রতিনিধ্বল দেখা করলেন এবং ১০০দিনের বকেয়া টাকার যাতে কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত ছেড়ে দেয় তার জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন করলেন। রাজ্যপাল এই আবেদন পাওয়ার পর দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সময়ের বিচারে এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তখন রাজ্যপাল দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন দমদম বিমানবন্দর থেকে। উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য একটাই ১০০ দিনের বকেয়া টাকা কেন্দ্রের কাছ থেকে আদায় করা।

এদিকে রাজ্য পালের সঙ্গে বৈঠকের কিছুক্ষণ পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজভবনের সামনে থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই আন্দোলন সফল কি অসফল সেই বিতর্কে না গিয়ে একটা কথা স্পষ্ট করে বলা যেতেই পারে, যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা প্রতিনিয়ত রাজ্যপাল কে কটুক্তি করছেন কটাক্ষ করছেন শেষ পর্যন্ত সেই তৃণমূলের প্রতিনিধিরায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন এবং রাজ্যপাল কে বকেয়া টাকা আদায় করে আনার জন্য অনুরোধ করলেন। এর চেয়ে দ্বিচারিতা আর কিছু হয় না।

Advertisement

তবে আসার কথা এই যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তিনি বকেয়া আদায়ের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সত্যিই কি যারা কাজ করে বিগত এক বছর কিংবা দেড় বছর ধরে ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন না! তারা কি এবার সত্যিই পাবেন? নাকি আন্দোলন সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আর রাজ্যপাল কেন্দ্রকে বললেই কেন্দ্র কি টাকা দেবে? এই প্রশ্নটাও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে! তাহলে কথাকথিত শাসকদলের এতদিন ধরে আন্দোলনের লাভ কি হল? নিজের রাজ্যে নিজের পুলিশকে কাজে লাগিয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙে দিনের পর দিন অবস্থান বিক্ষোভ করা যেতেই পারে, কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের কিছু উপকার হয়েছে বা হবে?

এতদিন ধরে কলকাতার একটা ব্যস্ত এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভ করার পর রাজ্যপালের দারস্ত হয়ে হয়তো তৃণমূল নেতারা ভাবছেন বিশাল কিছু জয় করে নিয়েছেন কিন্তু আসলে কি তাই? এতদিন যে রাজ্যপাল কে বলা হতো উনি নির্বাচিত নন মনোনীত সেই রাজ্যপালের হাত ধরে কোথায় যেন একটা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার পথ খুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস! সেটাই হয় তাহলে এতদিন ধরে আন্দোলন করার মানেটা কি রইল?

রাজ্যপালের কাছে এতদিন গেলে তো কাজটা হয়েই যেত। রাজ্যপালের সম্পর্কে কটুক্তি না করে সামান্য সম্মানটুকু এই রাজ্যের শাসক দলের নেতারা দিতেই পারতেন কেন দিলেন না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভাবতে হবে তার দলের নেতাদের মধ্যে কিছু নেতা কার স্বার্থে কাজ করছে দলের স্বার্থে না বিরোধীদের স্বার্থে সেটা মনে রাখতে হবে।

তবে সবশেষে বলা যেতে পারে অন্তত একটা সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছে। রাজ্যপাল সোমবারই দিল্লি যাচ্ছেন ইতিমধ্যেই তিনি বিমানে উঠে পড়েছেন এই প্রতিবেদন লেখার সময়। সুতরাং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি পৌঁছাবেন আশা করা যাচ্ছে এর রাজ্যের বঞ্চিত মানুষেরা যারা ১০০ দিনের কাজ করে এতদিন ধরে টাকা পাননি, তারা এবার টাকা পেতে পারে। সেক্ষেত্রে কৃতিত্ব কার শাসক দল না রাজ্যপালের সেটাই এখন আমজনতার প্রশ্ন।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ